জাতীয় ঐকমত্য কমিশন চায় সংবিধান থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি প্রদর্শনের ধারা বিলুপ্তি
সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি প্রদর্শন সংক্রান্ত সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৪ক বিলুপ্ত করতে চায় অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
কমিশন জানিয়েছে, এই প্রস্তাব ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’–এ অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে। এ সংক্রান্ত চিঠি রাজনৈতিক দলগুলোকে পাঠানো হয়েছে যাতে তারা দ্রুত সময়ে তাদের মতামত জানাতে পারেন। চিঠিটি পাঠানো হয়েছে কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ এর নামে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, কমিশন বিদ্যমান সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৪ক-এ উল্লিখিত বিধান বিলুপ্ত করার প্রস্তাবটি জুলাই সনদে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি বিবেচনা করছে। অনুচ্ছেদ ৪ক অনুযায়ী, জাতির পিতার প্রতিকৃতি রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার ও প্রধান বিচারপতির কার্যালয়, সকল সরকারি ও আধা সরকারি অফিস, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষের প্রধান ও শাখা কার্যালয়, সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, এবং বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাস ও মিশনে প্রদর্শন করতে হবে।
কমিশন চিঠিতে রাজনৈতিক দলগুলোকে ১১ অক্টোবর শনিবার বিকেল চারটার মধ্যে তাদের লিখিত মতামত কমিশনের কাছে পাঠানোর অনুরোধ করেছে। প্রয়োজন হলে তারা কমিশনের সঙ্গে ই-মেইল বা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান কমিশন থেকে চিঠি পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন। তবে তিনি এখনো কোনো মতামত পাঠাননি বলে জানান।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগ ২০১১ সালের ৩০ জুন সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী আনে। এতে শাসনতন্ত্রের প্রথম ভাগে ‘জাতির পিতার প্রতিকৃতি’ শিরোনামের চতুর্থ ধারাটি যুক্ত হয়। এই অনুচ্ছেদে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি একটি নির্দিষ্ট স্থানে সংরক্ষণের সাংবিধানিক বাধ্যতামূলক বিধান আরোপ করা হয়েছিল।
0 Comments